Description
প্রিয় মানুষ মরে গেলে আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। ভাবি, কী হতো এখন না গেলে! মৃত্যু নামক জীবনের এই কঠিন বাস্তবতাকে আমাদের মেনে নিতে বড্ড কষ্ট হয়। অথচ এর চেয়েও কঠিন অবস্থা হচ্ছে যখন আত্মার অপমৃত্যু ঘটে। অসুস্থ রোগীর চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের অভাব হয় না, অভাব হয় না কল্যাণকামী মানুষদের। সবাই তখন দৌড়ে আসে রোগীকে দেখতে। ডেকে আনে শুভাকাঙ্ক্ষীরা দেশের সেরা থেকে সেরা চিকিৎসকদের। কিন্তু আত্মা যখন মৃত প্রায়, আছে কি কোনো শুভাকাঙ্ক্ষী, যে রোগীকে বাঁচাবে অপমৃত্যুর হাত হতে? আত্মার এই অপমৃত্যু রোধে তাই নিজেকেই সবার আগে সোচ্চার হতে হয়। নিতে হয় জরুরী ব্যবস্থা। আজ থেকে শত বছর আগে এমন একজন সচেতন রোগী শরণাপন্ন হয়েছিল আত্মার চিকিৎসক ইবনুল-কাইয়্যিম (রহ.)-এর। ইমামের কাছে করেছিল একটি যুগান্তকারী প্রশ্ন, যার উত্তর দিতে গিয়ে উঠে এসেছে আত্মার খুঁটিনাটি, রোগের গভীর থেকে গভীর পর্যালোচনা এবং কার্যকরী সব ওষুধ। এভাবে তৈরি হয়ে গেছে একটি যুগান্তকারী একটি বই, যার বাংলা রূপ ‘আত্মার ওষুধ’। আত্মার ব্যাধি, রিজিকে সংকীর্ণতা, কাজে কর্মে বরকত হারিয়ে ফেলা, মনের কাঠিন্য, প্রেমরোগ, সমকামিতা, শয়তান এবং তার দোসরদের ঘনিষ্ঠতা—মোট কথা মুমিনের হৃদয়-রাজ্যে আসা কঠিন থেকে কঠিন বিপদ আপদ মূলে যে পাপাচার দায়ী থাকে, সেই পাপের ক্ষতি, পাপের ফাঁদ এবং এ থেকে পরিত্রাণের উপায় সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে এই বইতে। আছে কি কোনো নিরাশ বান্দা, যে ফিরে পেতে চায় আশার ফোয়ারা? আছে কি কোনো ভগ্ন হৃদয়, যে মুছে ফেলতে চায় জীবনের সব কালো ঝঞ্ঝা? আছে কি কোনো সাহসী মুমিন, যে হতে চায় লাগাম ছাড়া প্রবৃত্তির ওপর বিজয়ী? যদি থেকে থাকো, তাহলে এটাই তোমার জন্য ব্যবস্থাপত্র, তোমার আত্মার ওষুধ।
Reviews
There are no reviews yet.