Description
মানুষের জীবন খুব সামান্য সময়ের। জীবনের এই ছোট আয়োজনেও ব্যক্তিগত, পারিবারিক, পারিপার্শ্বিক, সামাজিক ও বিভিন্ন পর্যায়ে অভাব-অনটন, পেরেশানি, অস্থিরতা এবং অশান্তির নানা আয়োজন অনেকের জীবনে লেগেই থাকে। এসব বিষয় বর্তমানে মানুষের জীবনের আবশ্যক অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। এ-রকম অনুষঙ্গ সইতে না পেরে অনেকে তার মহামূল্যবান জীবনতরিকে ডুবিয়ে দিচ্ছে আত্মহত্যার মাধ্যমে। এতে তার ইহকাল পরকাল দু-কালই বরবাদ হচ্ছে। কিন্তু কেন? এসব অনুষঙ্গ এড়িয়ে আল্লাহপ্রদত্ত জীবনকে উপভোগ্য করে তুলতে কোনো ব্যবস্থা কি স্রষ্টা দেননি? অবশ্যই দিয়েছেন। মহান আল্লাহ কুরআনে হাকিমে বলেন, ‘পুরুষ অথবা নারীর মধ্যে যে-ই সৎ কাজ করবে, এমতাবস্থায় যে সে মুমিন, তাকে আমি অবশ্যই পবিত্র জীবন দান করব এবং আমি অবশ্যই তাদেরকে তাদের প্রাপ্য পুরস্কার প্রদান করব তাদের উত্তম কর্মের প্রতিদানস্বরূপ যা তারা করত।’ হাদিসে আছে : ‘ক্রেতা-বিক্রেতা যদি ধোঁকা-প্রতারণার আশ্রয় না নিয়ে সত্য কথা বলে ব্যাবসা করে, তাহলে উভয়ের জন্য বরকত হয়।’
বুঝা গেল, ঈমান ও কিছু সৎকর্মের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানুষের জীবনকে পবিত্র ও বরকতময় করে দেন। আর কারও জীবন যদি পবিত্র ও বরকতময় হয়ে যায়, তাহলে সে জীবনের মন্দ ও অপ্রীতিকর অনুষঙ্গ থেকে বের হতে পারবে। নিঃসন্দেহে তার জীবন উপভোগ্য হবে; সুখী-সমৃদ্ধ ও প্রশান্তির হবে। জীবনকে পবিত্রকারী সেসব কর্ম ও বরকতের কথা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কুরআন-হাদিস, দ্বীন-ধর্মের বিভিন্ন জায়গায়—‘মুমিনের জীবনে সীমাহীন বারাকাহ’ গ্রন্থটিতে সেসব বরকতেরই অনুসন্ধান করার চেষ্টা করা হয়েছে। এক মলাটে বরকতের মেসেজগুলো পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। যাতে প্রত্যেক পাঠক বরকতময় জীবন লাভ করে জীবনকে ইনজয় করতে পারেন।
Reviews
There are no reviews yet.