Description
বিশ্বব্যবস্থার গতিপ্রকৃতি আসলে নিয়ন্ত্রণ করে কারা?
কীভাবে চলে সেই অকল্পনীয় নিয়ন্ত্রণ!
নতুন একটি অস্ত্র কিংবা বোমা ঝলসে উঠলে এর পেছনে ঠিক কী থিওরি লুকিয়ে থাকে?
পৃথিবীতে আমরা কি আরও একটা বিশ্বযুদ্ধের জন্য অপেক্ষা করছি?
মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষের হৃদয়ে থাকা এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিচ্ছেন একজন বিখ্যাত তাত্ত্বিক ও একাডেমিয়ান জন জে মিয়ারশেইমার।
তার মতে, একুশ শতক হোক কিংবা উনিশ শতক —রাষ্ট্রের আচরণ সবসময়ই এক ও অভিন্ন। রাস্ট্র পরিচালিত হয় পাওয়ার পলিটিক্সের ভাষ্যে, লিবারেল ফ্রেমওয়ার্কে নয়।
এই বিষয়টাকে তিনি ইতিহাসের বিপুল তথ্য-উপাত্ত দিয়ে থিওরাইজিং করে নিজের আর্গুমেন্ট প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি স্পষ্ট করে দেখিয়েছেন যে, একুশ শতকের যুদ্ধহীন পৃথিবীর স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন বৈ কিছুই নয়। চিরস্থায়ী শান্তির একটি প্রকল্প প্রোপাগান্ডা মাত্র!
মিয়ারশেইমার আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একুশ শতকের অন্যতম বড় প্রভাবক। জীবদ্দশাতেই তিনি পৃথিবীর সমস্ত ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে পঠিত হন। তাকে বলা চলে, জীবন্ত এক কিংবদন্তি।
তিনি তার বিখ্যাত থিওরি ‘অফেন্সিভ রিয়েলিজম’ গড়ে তুলেছেন বক্ষ্যমাণ গ্রন্থ—‘ট্রাজেডি অব গ্রেট পাওয়ার পলিটিক্স’ -এর মাধ্যমে। ফলে এই বইটির একাডেমিক ভ্যালুও অনেক উচ্চতর।
সহজ কথায় বললে—‘ট্রাজেডি অব গ্রেট পাওয়ার পলিটিক্স’ বইটি একুশ শতকের পৃথিবীকে বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণ করছে। বহু বনি আদমের জীবন-মৃত্যুর ফায়সালা হয় বইতে আলোচিত হওয়া এই তত্ত্বের ফ্রেমওয়ার্কে।
কারণ, মিয়ারশেইমারদের মতো তাত্ত্বিকদের তত্ত্ব ও চিন্তা রাষ্ট্রপ্রধানদের কর্মকাণ্ড ও সিদ্ধান্তকে সরাসরি প্রভাবিত করে থাকে।
এখানেই জন জে মিয়ারশেইমারকে গভীরভাবে পাঠ করা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ইতিহাস, রাজনীতি ও পাওয়ার পলিটিক্স নিয়ে আগ্রহীদের জন্য তাজা খবর হলো, ‘ট্রাজেডি অব গ্রেট পাওয়ার পলিটিক্স’ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে বাংলা ভাষায় অনূদিত হওয়া এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে হাই-প্রোফাইল একাডেমিক বই।
মেধাবী অনুবাদক রাকিবুল হাসানের ঝরঝরে গদ্যে বিশ্বরাজনীতি নিয়ে রচিত গুরুত্বপূর্ণ এই বইটি এখন রাহনুমা’র প্রকাশনায় পাঠকের কাছে পৌঁছাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।
এই বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ে আপনি আবিষ্কার করবেন একুশ শতকের পাওয়ার পলিটিক্সের ভেতর-বাহির ও পৃথিবীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ! জাস্ট পৃষ্ঠা উল্টাতে থাকুন আর পড়ুন।
Reviews
There are no reviews yet.