Availability: In Stock

ইসরায়েল ও সভ্যতার সংঘাত

Original price was: 600.00৳ .Current price is: 450.00৳ .

Description

মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে পশ্চিমা দেশগুলোর নিয়ন্ত্রণ শুরু হয় ১৯২০ এর দশকে। তখন ব্রিটিশদের কাছে নিজের দেশের তেলের নিয়ন্ত্রণ তুলে দিতে বাধ্য হন ইরাকের বাদশাহ ফয়সল। ইরাকের মত একই ধরনের ঘটনা ঘটে ইরানের ক্ষেত্রেও। তেল শিল্প জাতীয়করণ নিয়ে বিরোধ চলাকালে ১৯৫৩ সালে দেশত্যাগে বাধ্য হন ইরানের শাহ্‌ রেজা পাহলভি। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই সিআইএ একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে আবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনে। ক্ষমতায় ফিরে এসেই মার্কিন কোম্পানির নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের হাতে ইরানের তেলের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেন তিনি। শুধু পশ্চিমা দেশগুলোই নয়, সেই ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে ইসরায়েল।

ব্রিটিশ সাংবাদিক জনাথন কুকের মতে, ইঙ্গ-মার্কিন বাহিনী যখন ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণ করে তখন ভূ-রাজনৈতিক চাল ছিল আরও অনেক জটিল। তার ইনভেস্টিগেশন থেকে দেখা যায়- বুশ প্রশাসন যখন ইরাক আক্রমণ করেছিল- সেটা ছিল মূলত ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিলিত পরিকল্পনা। ইসরায়েলের পরিকল্পনা ছিল, এই আক্রমনের মধ্য দিয়ে তারা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিকে ঢেলে সাজাবে। এতে একদিকে ইসরায়েল হবে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ, অন্যদিকে ইরানকে তারা পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হতে দেবে না। এজন্য তারা রীতিমত পরিকল্পনা করে শিয়া, সুন্নি এবং কুর্দিদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ উস্কে দেয়। জনাথন কুক তার “ইসরায়েল ও সভ্যতার সংঘাত” বইতে এই বিষয়ে বিভিন্ন সরকারী নথিপত্র থেকে রাশি রাশি প্রমান দেখিয়েছেন।

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি সম্পর্কে আগ্রহী পাঠক ও গবেষকদের জন্য এই বইটি একটি দারুণ রিসোর্স।