Description
ইসলামের মৌলিক বেশকিছু আকীদার সুস্পষ্ট বিরোধিতার কারণে কাদিয়ানীরা অমুসলিম। একটি মুসলিম দেশে একজন অমুসলিম হিসেবেও কাদিয়ানীরা নাগরিক সুবিধা পেতেই পারে। কিন্তু সমস্যা হলো কাদিয়ানীরা নিজেদেরকে অমুসলিম হিসেবে স্বীকার করতে নারাজ। নিজেদের আকীদার বিষয় তারা বিভিন্ন ছলচাতুরি করে থাকে। মুসলমানদেরকে ধোকা দিয়ে নিজেদের দলে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করে। এই সমস্যার নিরসনে বিশ্বের অনেকগুলো দেশে কাদিয়ানীদের ছলচাতুরি বিশ্লেষণ করার পর তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে।
১৯৭৪ সালের খতমে নবুয়ত আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে কাদিয়ানীদের অমুসলিম সংখ্যালঘু হিসেবে ঘোষণা করার দাবি ওঠে। এই দাবির পক্ষে সংসদের ৩৮ জন সদস্য একটি প্রস্তাব পেশ করেন। জাতীয় পরিষদ এই ইস্যুতে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি উভয় পক্ষ থেকে যুক্তি প্রমাণ আহ্বান করে।
মুসলমানদের পক্ষ থেকে যুক্তি প্রমাণ পেশ করার জন্য মুফতী তকী উসমানী সাহেব দা.বা.এবং শহীদ সামিউল হক সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি একটি গ্রন্থ রচনা করেন। উর্দু ভাষায় রচিত সেই গ্রন্থের নাম ছিলো ‘কাদিয়ানি ফিতনা আওর মিল্লাতে ইসলামিয়া কা মাওকিফ।’
রচনার পর এই বইটি জাতীয় পরিষদে পাঠ করা হয়। অবশেষে ১৯৭৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে মির্জা কাদিয়ানির অনুসারীদের উভয় দলকেই অমুসলিম ও সংখ্যালঘু হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
কাদিয়ানীদের খন্ডন করে আগেপরে অনেক বই লেখা হয়েছে, কিন্তু যেহেতু এই বইটি জাতীয় পরিষদে মুসলমানদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য লেখা হয়েছে, তাই এখানে মৌলিক সূত্রের আলোকে সংক্ষিপ্ত এবং সমৃদ্ধভাবে কাদিয়ানী সমস্যার সকল দিক ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
কাদিয়ানীদেরকে কাফের ঘোষণার এই ঐতিহাসিক দলিলটি পূর্ণাঙ্গভাবে এই প্রথম বাংলাভাষী পাঠকদের জন্য অনুবাদ করেছেন জামি’আ রাহমানিয়া আরাবিয়া, মুহাম্মদপুর, ঢাকার তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মাওলানা হাসান সিদ্দীকুর রহমান মাওলানা ইরফান জিয়া ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান।