Description
চারটি বাস্তব ঘটনা নিয়ে এই বই।
রাক্কা থেকে পলায়ন:
আমেরিকার নিরাপদ জীবন ছেড়ে তুরস্কের সীমান্ত দিয়ে রিয়াদ ছুটে যাচ্ছে সিরিয়ার রাক্কা শহরের দিকে। বিদ্রোহীদের হাতে শহরটার পতনের পর থেকেই সেখানে বসবাস করা মা এবং ছোট ভাইয়ের সাথে তার সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। তার পরিকল্পনা, মা এবং ভাইকে খুঁজে বের করে তাদেরকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাবে সে। আর যদি তারা বিপদের মুখে থাকে, তাহলে তাদেরকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনে সে যুদ্ধে যোগ দেবে। এখন হয়তো সে আমেরিকায় আছে, কিন্তু ভার্সিটিতে পড়ার সময় সিরিয়াতে সে দুই বছরের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছিল। যুদ্ধকে সে ভয় পায় না!
কিন্তু সে কি পারবে তাদেরকে খুঁজে বের করতে? তার চেয়ে বড় কথা, তারা কি রাক্কা ছাড়তে রাজি হবে?
লাতাকিয়ার অপহৃত বোনেরা:
বিদ্রোহীরা দামেস্ককে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলতে শুরু করলে ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে তালাল তার পরিবারকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। তার বিশ্বাস ছিল, রাজধানী দামেস্কের তুলনায় লাতাকিয়ার পার্বত্য অঞ্চলেই তারা নিরাপদে থাকবে। কিন্তু সে বছরের আগস্ট মাসে বিদ্রোহীদের চরমপন্থী কিছু দল অতর্কিতে আক্রমণ করে বসে লাতাকিয়ার ১১টি গ্রামে; তারা হত্যা করে নারী ও শিশুসহ ১৯০ জন বেসামরিক নাগরিককে, অপহরণ করে আরও ১০৬ জন আলাউই গ্রামবাসীকে। অপহৃতদের মধ্যে ছিল তালালের স্ত্রী এবং চার ছেলেমেয়েও।
কী ঘটেছিল তাদের ভাগ্যে? তাদের সবাইকে কি মেরে ফেলা হয়েছিল? নাকি বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল সরকারের সাথে দেন-দরবারের মাধ্যমে বন্দী বিনিময়ের উদ্দেশ্যে? সরকার কি বিদ্রোহীদের সাথে আলোচনায় বসতে রাজি হবে?
ইয়ারমুকের পিয়ানোবাদক:
দামেস্কের ইয়ারমুক শরণার্থী শিবিরের ফিলিস্তিনি পিয়ানিস্ট আইহাম এবং তার বাবার ব্যবসা দিন দিন ফুলে ফেঁপে উঠছিল। তাদের ওয়ার্কশপে তৈরি হওয়া অ্যারাবিক মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট ‘ওউদ’ আরব বিশ্বের সীমানা ছাড়িয়ে রপ্তানি হচ্ছিল ইউরোপেও। কিন্তু এরপরেই গৃহযুদ্ধ এসে তাদের জীবন ছিন্নভিন্ন করে দেয়। আসাদ সরকার কর্তৃক আরোপিত অবরোধ এবং মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে তাদের বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়ে। তাদেরকে বেঁচে থাকতে হয় ঘাস আর লতাপাতা খেয়ে।
এরপর যখন জঙ্গি সংগঠন আইসিস তাদের এলাকা দখল করে নেয়, তখন পিয়ানিস্ট হিসেবে সে পরিণত হয় তাদের টার্গেটে। সে কি পালাতে পারবে আইসিসের কবল থেকে?
দেরার সাঁতার না জানা তরুণী:
জীবন বাঁচানোর জন্য দোয়া এবং তার পরিবার সিরিয়ার দেরা ছেড়ে আশ্রয় নেয় মিসরে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট মুরসির সরকারের পতনের সাথে সাথে পাল্টে যায় মিসরে আশ্রয় নেওয়া সিরিয়ান শরণার্থীদের ভাগ্যও। জেনারেল সিসির পক্ষের গণমাধ্যমগুলো মিসরের বিভিন্ন সঙ্কটের জন্য দায়ী করতে থাকে সিরিয়ানদেরকে। ফলে দোয়াদের ঘর থেকে বের হওয়াই কঠিন হয়ে পড়ে। রাস্তাঘাটে তারা আক্রমণের শিকার হতে থাকে।
দোয়া এবং তার স্বামী সিদ্ধান্ত নেয়, ট্রলারে করে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে আশ্রয় নেবে তারা। কিন্তু সেই ট্রলার কি ইতালিতে পৌঁছতে পারবে? নাকি মাঝ সমুদ্রেই ডুবতে শুরু করবে দোয়ার মতো সাঁতার না জানা কয়েকশো যাত্রীকে নিয়ে?
Reviews
There are no reviews yet.