Description
তারা ছেড়ে এসেছিলেন আয়েশি জীবন, চাকচিক্যময় দুনিয়া; রঙিন আর স্বাপ্নিক সব মুহূর্ত। তারা ছুটে চলেছিলেন এক ধ্রুব সত্যের পানে, যে সত্য নিয়ে এসেছিল এক ভিন্ন জীবন, ভিন্ন ভুবন। তারা ডুব দিলেন এক পবিত্র, শুভ্র-সফেদ জীবনসমুদ্রে। তারা তুলে আনলেন মণিহার, মুক্তোর মালা। তাদের জীবনালেখ্যে কত না সংগ্রাম, কত না ত্যাগ আর হারানোর গল্প লুকিয়ে আছে। সে গল্পগুলোই আমাদের আয়না। আয়নার নাম ‘জীবন যদি হতো নারী সাহাবীর মতো’। এই আয়নায় আমরা দেখে নেব নিজেদের অবয়ব। ফিতনার এই যুগে কীভাবে আমাদের নারীরা স্বীয় জীবনকে নারী সাহাবীদের জীবনের আদর্শের আলোকে গড়ে তুলবে, স্বামীভক্তি এবং তাওয়াক্কুলের আদলে কীভাবে পথ চলবে লেখিকা ড. হানান লাশীন সেই উপায়গুলোই এখানে,সহজ,সাবলিল মনোমুগ্ধকর ভাষায় তুলে ধরেছেন। বইটিকে তিনটি অধ্যায়ে বিভক্ত করা হয়েছে।
প্রথম অধ্যায়, যেখানে লেখিকা আমাদের হতে বলেছেন নারী সাহাবীদের মতো। কখনও আসমা বিনতু আবি বকরের পিতা অনুগত হওয়া থেকে, আবার উম্মু কুলসুম বিনতু উকবাহর মতো হৃদয়ের হিজরত করতে যেখানে ছিল আত্মত্যাগ, রাব্বের প্রতি অগাধ ভালোবাসা আবার কখনও বা উম্মুদ দারদাহ’র মত স্বামীভক্ত হতে বলেছেন, যে কিনা স্বামীর সিদ্ধান্তের উপর সর্বদা অটল। (আল্লাহ তাদের উপর সন্তুষ্ট থাকুন).
তৃতীয় অর্থাৎ শেষ অধ্যায়ে লেখিকা তুলে ধরেছেন জীবনের বাস্তবতা। কারো স্বপ্নের রাজকুমারকে নিয়ে আকাশ-কুসুম কল্পনা না করে মানিয়ে নিতে বলেছেন। রাব্বের প্রতিটা সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট এবং ধৈর্য ধরতে বলেছেন।
বইটি কেন পড়ব?
রাব্বকে সন্তুষ্ট করতে। যাদের উপর আল্লাহ সন্তুষ্ট ছিলেন। যারা পেরেছিল রাব্বকে খুশি করতে, আল-জান্নাহর পথ সুগম করতে। তাদের পদচিহ্ন ধরে চলার উদ্দেশ্যে,গুনাহ থেকে উঠে এসে হিদায়াহর পথ আঁকড়ে ধরার জন্য পড়তে হবে।
শেষের দিকে লেখিকা যে গুরুত্বপূর্ণ মেসেজটি আমাদের দিয়েছেন তা হলঃ “কখনো যেন মনে না করি, নারীত্ব মানে হাই হিল পরা, নারীত্ব মানেই ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক কিংবা আটসাট কাপড় পরিধান করা। বরং নারীত্ব হল কোমল আচরণ। নারীত্ব কেবল পোশাকে নয়। নারীত্ব চিন্তায়,কথাবার্তায়, উত্তম আচরণে ও আল্লাহকে সন্তুষ্টকারী ইলম অর্জনে।”