Description

প্রতিটি ভোর নিয়ে আসে নতুন আলো। করে দেয় আমাদের নতুন কিছু পাথেয় জোগাড় করে নেওয়ার সুযোগ। এ সুযোগ কেউ কাজে লাগায়, ফলে সে ধন্য হয়। আর কেউবা বরাবরই বিমুখ থাকে, চলে উল্টো পথে আর নিমজ্জিত হয় পাপের সাগরে। কেউ আবার গুনাহের কর্দমা লেপে নেয় সর্বাঙ্গে। ময়লার আবরণে দেহমন সব কদর্য হয়ে পড়ে। এমন মানুষগুলো প্রভুর কাছে থেকে দূরে সরে যায়।

কিন্তু তারা সংশোধিত হতে চাইলে প্রভু কি তাদের দূরে সরিয়ে দেন? উত্তরটা আমাদের ভালোভাবেই জানা। না, মহান রব তাদের দূরে সরিয়ে দেন না। বরং যারা আপন চোখ থেকে প্রবাহিত করে অশ্রুধারা, তাওবা করে ফিরে আসে মহান প্রভুর কাছে, তারাই তো সেসব মানুষ, যারা মহান প্রভুর নৈকট্যশীল বান্দায় রূপান্তরিত হয়। কারণ, তারা যে প্রভুর কাছে সুপথ পেতে বইয়ে দিয়েছে অশ্রুসাগর, অনুশোচনার সাগরে হাবুডুবু খেয়ে চেয়েছে তারা ক্ষমা ও করুণা…

ইমাম ইবনুল জাওজি রহ. পাপের কদর্যতা তুলে ধরে, পাপাচারের নর্দমা থেকে দূরে থাকার প্রেরণা জুগিয়ে তাঁর হৃদয়ের নিবেদন পেশ করেছেন যে গ্রন্থটিতে, যাতে তিনি তুলে এনেছেন তপ্ত অশ্রুধারা বয়ে দেওয়া এমন কিছু মানুষের কথা, যারা একসময় পাপাচারে লিপ্ত ছিলেন, পরবর্তী সময়ে তাওবার পথ ধরে আলোকিত জীবন লাভে ধন্য হয়েছেন, হয়েছেন মহান প্রতিপালকের নৈকট্যশীল ও প্রিয়তম বান্দাদের অন্তর্গত; সেসব নিবেদন ও আখ্যানে রচিত অনবদ্য গ্রন্থটির নাম—‘بحر الدموع’।

এ গ্রন্থের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ ‘অশ্রুসাগর’। গ্রন্থটি গুনাহে নিমজ্জিত নিরাশ বান্দাদের জন্য হবে আশার আলো, দিগভ্রান্ত পথিকদের জন্য হবে পথের দিশা, আর দ্বীনের রাজপথে চলতে ইচ্ছুক ভাইদের জন্য হবে শ্রেষ্ঠ পাথেয়।

Additional information

Author

Publication

Binding

হার্ডকাভার

Total Page

248

Language

বাংলা