Description
আল্লাহ ছাড়া আর যা কিছুর উপাসনা করা হয়, তার সবই তাগুত। সেগুলো যে দৃশ্যমান কোনো মূর্তিই হতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। সবচেয়ে আধুনিক ও শক্তিশালী মিথ্যে উপাস্যরা বরং অদৃশ্য। তারা নিজেদের প্রস্তাবিত জীবনব্যবস্থাকে ‘ধর্ম’ বলতে নারাজ। এর বদলে বলে ‘-বাদ’, ‘-তন্ত্র’, ‘-ইজম’ ইত্যাদি। মূর্তি বানালেও সেটাকে বলে ‘ভাস্কর্য’, ‘সৌধ’, ‘স্তম্ভ’ ইত্যাদি। মানুষ হয়ে মানুষের দাসত্ব করার সেই আদিম ধর্মকেই নতুন করে নাম দেয় ‘মানবতাবাদ’। বস্তুকে পূজা করার আদিম পৌত্তলিকতাকেই ডাকে ‘সেক্যুলারিজম’। লাগামছাড়া নৈতিকতাকেই আদর করে ডাকে ‘লিবারেলিজম’।
আল্লাহর বান্দারা এসব আধুনিক মিথ্যে উপাস্যকে ভাঙার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কেউ আঘাত করছেন সেসব ভাস্কদর্যের হাতে, কেউ পেটে, কেউ ঘাড়ে, কেউ মাথায়। সব চেষ্টাই নিজ নিজ জায়গায় ঠিক আছে। কিন্তু প্রায়শ ভাস্কদর্যের উপাসকরা রাতের আঁধারে চুপি চুপি এসে সেসব ভাঙা ঘাড়-মাথা মেরামত করে আবার লুকিয়ে পড়ে। তাই আমাদের কাছে মনে হলো, আঘাতটা হওয়া উচিত আরো নিচে। বেদীর কাছে, একদম গোড়ালিতে; যাতে পুরো ভাস্কদর্যটা হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে।
এই বইয়ে আমরা সেই প্রচেষ্টাটাই করেছি। প্রচেষ্টা আলবত দুর্বল। ছোটখাটো ফাটলের চেয়ে বেশি কিছু হয়নি। কিন্তু আমরা তো আর একা নই। ভাস্কদর্য দেখতে যত শক্তিশালীই হোক, সে মাকড়সার ঘরের মতোই দুর্বল [২৯:৪১]। শেকড় থেকে উপড়ে যাওয়াই এর নিয়তি [১৪:২৬], ইন শা আল্লাহ।
Reviews
There are no reviews yet.