Description
ষষ্ঠ শতকের (৫০১-৬০০ খ্রি.) আরবে মানবতার চরম বিপর্যয় ঘটেছিল। সপ্তম শতকের প্রথম দশক পর্যন্ত এ অবস্থা বিদ্যমান ছিল। এ সময়ে আরব ও সমকালীন বিশ্বে নৈতিক স্খলন ছিল বীভৎস পর্যায়ের। জীবনে ও সমাজে কোনো শৃঙ্খলা ছিল না। দারিদ্র্য, কুসংস্কার, শোষণ ও নিপীড়নে সাধারণ মানুষের জীবন ছিল দুর্বিষহ। নারীর সম্মান ছিল না। ধর্মের নামে সর্বত্র ছিল অধর্মের জয়জয়াকার। এমন পরিস্থিতি মহান আল্লাহ বিশ্ববাসীর প্রতি ‘রাহমাত’ হিসেবে হযরত মুহাম্মাদ সা.-কে সর্বশেষ নবী ও রাসূল মনোনীত করে প্রেরণ করেন। তিনি তিন দশকের (৬১০-৩২ খ্রি.) অক্লান্ত পরিশ্রমে আরবদের জীবনধারাকে আমূল বদলে দেন।
তাঁরা নৈতিকভাবে এতটাই প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন যে, ৬৪৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তাঁদের উন্নত নৈতিক গুণাবলির প্রভায় প্রায় অর্ধ পৃথিবী প্রোজ্জ্বল হয়ে ওঠে। বর্তমান বিশ্বও নৈতিক ও মানবিকভাবে বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। বিশ্বজাহানের এমন বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সা.-এর অনুসৃত নীতি ও সাধিত সংস্কারগুলো নতুনভাবে মূল্যায়নের দাবি রাখে। এগুলো অনুসরণ ও অনুশীলনই হতে পারে পৃথিবীর নৈতিক ও মানবিক বিপর্যয় রোধের অব্যর্থ সমাধান। ‘রাসূলুল্লাহ সা.-এর নীতি ও সংস্কার’ গ্রন্থে এ বিষয়গুলোই বিবৃত হয়েছে, বিশ্লেষিত হয়েছে। মহাবিশ্বের সকলের জন্য আল্লাহ তাআলার রাহমাত এই মহামানবের নীতি ও সংস্কার সম্পর্কে প্রামাণ্য বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের এটি একটি নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে সমাদৃত হতে পারে।
Reviews
There are no reviews yet.