Description
উসমানি খিলাফতের প্রাণ তখন ওষ্ঠাগতপ্রায়। তখনই সাম্রাজ্যবাদী পশ্চিমা শকুনগোষ্ঠীর লোভাতুর চোখ গিয়ে পড়ে খিলাফতের অধীন আফ্রিকার মুসলিম ভূখণ্ডগুলোর ওপর। তারা এসব ভূখণ্ডকে রাজাবিহীন রাজ্য হিসেবে ধরে নেয়। ইতালি ঝাঁপিয়ে পড়ে লিবিয়ায়। ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে লিবিয়ার সমুদ্র উপকূলে নোঙর করে ইতালিয়ান রণতরীগুলো। পিঁপড়ের মতো বেরিয়ে আসে হাজার হাজার ইতালিয়ান সেনা।
সিংহ যেমন আস্তানা ছেড়ে গর্জন করতে করতে বনের খোলা মাঠে বেরিয়ে আসে, তেমনই জাবালে আখজারের আল-কুসুর খানকা থেকে রণহুংকারে সদলবলে ময়দানে বেরিয়ে আসেন উমর মুখতার। বয়সের ভারে ন্যুব্জ সানুসি সুফি আন্দোলনের আধ্যাত্মিক জগতের পুরোধা ব্যক্তি তিনি। রাতের সাধক আর দিনের অশ্বারূঢ়। দাড়ি, টুপি আর আলখাল্লা পরিহিত দরবেশ। কুরআন- হাদিসের মশালধারী একজন জবরদস্ত আলিম।
উদ্ধত সিংহের মতো মৃত্যুর প্রতি একেবারে উদাসীন কয়েকজন সাথি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন দখলদার ইতালির বিরুদ্ধে। ১৯১১ থেকে ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ২০টি বছর প্রায় ২৬৩ রণক্ষেত্রে বীরদর্পে লড়াই করেন। প্রতিটি যুদ্ধে চোখে সরষে ফুল দেখতে থাকে ইতালিয়ান বাহিনী। ইতালি সরকার তাঁর সঙ্গে বার বার সমঝোতা করতে চেয়েছে; কিন্তু প্রতিবারই তিনি এককথা বলেছেন, যা ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে লিখে রেখেছে—‘আমরা আত্মসমর্পণ করি না; আমরা হয় জিতি, না হয় মরি।’
Reviews
There are no reviews yet.