Description
আর-রাহিকুল মাখতুম
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। জগতের জন্য যিনি রহমত, যাকে ভালোবাসে আসমান-জমিনের সবকিছু, দেড় হাজার বছর আগে না-দেখেও যিনি আমাদের ভালোবেসেছেন, কাতর হয়েছেন আমাদের বেদনায়, না-দেখা সত্ত্বেও আমরা যাকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসি—সেই প্রিয়তম রাসুলের শুদ্ধতম জীবনালেখ্য এ বই।
ইসলামের জন্য যিনি—তায়েফে হয়েছেন রক্তাক্ত, উহুদে জর্জরিত, পেটে বেঁধেছেন পাথর, হয়েছেন সমাজচ্যুত—নবিজীবনের সেই সব বেদনাবিধুর ঘটনাপ্রবাহের অনুপম শব্দচিত্র এ বই।
বইটি এমনভাবে লেখা হয়েছে যে, পাঠকের মনে হবে নবিজীবনের আনন্দ-বেদনার সফরে সঙ্গী হয়ে রয়েছেন তিনিও। তায়েফ, উহুদ ও খন্দকের বেদনায় ভারাক্রান্ত হবে তার মন। বদর, মক্কা ও আরব জয়ের আনন্দে উল্লসিত হবে তার হৃদয়। বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত নবিজীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি হৃদয়ছোঁয়া বর্ণনায় পাঠকের সামনে তুলে ধরবে এ বই।
নবিয়ে রহমত
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিশুকালে দুধপান করার সময় দুধ-ভাইয়ের অংশটুকু রেখে পান করতেন, কারণ তিনি রহমতের নবি। পৃথিবীতে যাকিছু চিরকল্যাণকর, তিনি ছিলেন সেসবের আশ্চর্য আধার। যারা তাকে দিয়েছে অবর্ণনীয় কষ্টক্লেশ, তিনি তাদের জন্য ঘোষণা করেছেন গণক্ষমা। কারণ তিনি রহমতের নবি। যারা তাকে তাড়িয়ে দিয়েছে দুয়ার থেকে, পাথরে পাথরে করেছে জর্জরিত, তিনি তাদের জন্য করেছেন কল্যাণের দুআ। কারণ তিনি রহমতের নবি।
রহমতের নবির সে মহাকাব্যিক জীবনের আনন্দ-বেদনার ঘটনাবলি দিয়ে সাজানো হয়েছে অসামান্য সিরাতগ্রন্থ ‘নবিয়ে রহমত’।
সিরাতে ইবনে হিশাম
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সিরাত এক প্রোজ্জ্বল প্রদীপ—যার সামনে আমাদের জীবন এক চিলতে সলতের মতো। এর আলোয় প্রজ্জ্বলিত হয়ে ওঠে আমাদের জীবনবাতি। আলোকিত হয়ে ওঠে হৃদয়জগৎ। জীবনের কানাগলি ছেড়ে আমরা তখন উঠে যাই আলোর রাজপথে। ছুটে যাই ভালোর দিকে। এজন্য সিরাতের মোহন এত দারুণ। জানা ঘটনা, জানা ইতিহাস বারবার পড়ার পরেও মনের তৃপ্তি মেটে না। এ যেন সঞ্জীবনী সুধা—যত পান করি, তত উজ্জীবিত হই।
‘সিরাতু ইবনি হিশাম’ বহুলপঠিত ও সমাদৃত একটি গ্রন্থ। এটি সিরাতশাস্ত্রের প্রামাণ্যগ্রন্থ হিসেবে বরিত। সিরাতের পাঠক, লেখক, গবেষক সকলের কাছে গ্রন্থটির যথেষ্ট কদর ও ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তাই সহস্র শতাব্দীর বেশি সময় ধরে আজও এর উপকারিতা ও জনপ্রিয়তা সমান। এই গ্রন্থে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গোটা জীবনকে আলোকবর্তিকা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। যার উজ্জ্বল পাঠগ্রহণের দ্বারা সমগ্র মুসলিম উম্মাহ পাবে সঠিক পথের দিশা।
নবি জীবনের গল্প
আরিফ আজাদের নতুন বই ‘নবি জীবনের গল্প’। প্রিয় নবিকে ভিন্নভাবে দেখার দূরবীক্ষণ যন্ত্র। সীরাতের বাঁকে বাঁকে ছড়িয়ে থাকা নববি মণিমুক্তো। নবি জীবনের প্রতিটি পঙ্ক্তি বাঙ্ময় হয়ে আছে নানা ঘটনা-মাধুর্যে। বড় অমূল্য সেই মুহূর্তগুলো। আরিফ আজাদ এই বইতে সেই মুহূর্তগুলো এঁকেছেন কলমের কালিতে। গল্পে গল্পে তিনি দেখিয়েছেন প্রিয় নবি কেমন ছিলেন ঘরে-বাইরে, মসজিদে-মজলিসে, মদীনার অলিতে গলিতে, সাহাবিদের ঘরদোরে, শক্ত চাটাইয়ে, কেমন সময় কাটতো প্রিয়তমা স্ত্রীদের সাথে কিংবা নিশি জাগরণে রবের সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে।
.
পাঠক এই বইতে আবিষ্কার করবেন এমন একজন ব্যক্তিকে, যিনি ছিলেন মানুষ, আবার একই সাথে আল্লাহর দূত। সৃষ্টির সেরা হয়েও যার জীবনটা কাটতো অতি সাধারণভাবে, তবে ছিল মনুষ্যের সেরা রূপ। নবিকুলের শিরোমণিকে আসুন আমরাও নতুন করে জানি।
নবীজি ﷺ—যেমন ছিলেন তিনি
নিজের জামা থেকে শুরু করে জুতা পর্যন্ত নিজেই সেলাই করতেন। নিজেই ঘর মুছতেন, বকরির দুধ দোহাতেন, পরিবারকে মাংস কাটায় সহায়তা করতেন। কেউ এলে নিজেই আতিথেয়তা করতেন, কথা বলতেন এবং তাদের প্রতি অত্যন্ত উদার ব্যবহার করতেন। যখন সফরে বের হতেন তখন পালাক্রমে একবার নিজে সাওয়ার হতেন, আরেকবার তার সাথীকে সাওয়ার হতে দিতেন। তার খাবার ছিল যবের রুটি। তিনি ঘুমাতেন মসজিদে। কখনো কখনো খালি পায়েও হাঁটতেন। দুজন সাওয়ার হলে তিনি পেছনে বসতেন, যাতে আরেকজনের ভ্রমণে কষ্ট না হয়। একদল মুসাফিরদের ভেতর থাকলে তিনি পেছনের দিকে থাকতেন, যাতে দুর্বল মুসাফিরদেরকে তিনি সাহায্য করতে পারেন, আর অন্যদের সাথে মিলেমিশে চলতে পারেন।
তিনিই আমার প্রাণের নবি (সা.)
তিনিই আমার প্রাণের নবি (সা.)’
.
শাইখ আলী জাবির আল ফাইফী রচিত এই বইয়ের পরতে পরতে পাঠক নবীজিকে নতুন ভাবে চিনবেন। দেখবেন, তিনি এসেছেন মহানুভুবতা, ভালোবাসা আর বিশ্বস্ততার প্রতীক হয়ে। জানবেন, তার শুভামন ঘটেছে মহান রবের পক্ষ থেকে এক আলো-ঝলমলে বার্তা নিয়ে, যে আলোয় ভেসে যায় সমস্ত অনাচার, মুছে যায় সব মিথ্যে উপাস্যের ঠুনকো অস্তিত্ব। তিনি জানেন ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে। তিনি জানেন সকলের মাঝে ভালোবাসার বীজ বুনে দিতে।
.
বইয়ের প্রতিটি পরিচ্ছেদ পড়ার সময় পাঠকমনে একটি কথাই বার বার প্রতিধ্বনিত হবে: তিনিই আমার নবী, তিনিই আমার প্রাণের নবী, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
কে উনি??
এই বইতে সুদৃঢ়, সুপ্রতিষ্ঠিত ইতিহাস থেকেই একের পর এক প্রমাণ করা হবে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন নবি ছিলেন। সত্য নবি। সত্যের দিকে আহ্বানকারী আল্লাহর সত্যিকারের একজন বার্তাবাহক, মেসেঞ্জার। একজন ট্রু প্রফেট।
এই বইটি পড়ে পাঠক-পাঠিকা গালে হাত দিয়ে ভাবনার অতলে তলিয়ে যাবে, ঘুমাতে পারবে না আর চিন্তায় চিন্তায়। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনীর পাতায় পাতায়, কুরআনের পরতে পরতে তার নবুওয়াতের সত্যতা দেখে নিতে, ভেবে বের করে শেখার চেষ্টা করবে নিজে নিজে। উনাকে অস্বীকার করার আর কোনো ভিত্তিই খুঁজে পাবে না নিজের ভেতরে। মুখে অস্বীকার করলেও, ভেতর থেকে ঠিকই জেনে যাবে, উনি নবি, সত্য নবি। আর উনাকে নবি হিসেবে সত্য জানলেই ইসলামের সত্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় অন্তরের ভেতর।
নবিজির শেষ দিনগুলো ﷺ
জীবনের শেষ দিনগুলোতে কেমন ছিল নবিজির রুটিন? অসুস্থতার সময়টা তিনি কীভাবে কাটাতেন? নবিজি যখন ভীষণ অসুস্থ, তখন পরিবার ও সাহাবিদের সাথে কীরকম ছিল তার আচরণ? কী ছিল তার অন্তিম উপদেশ? কেমন ছিল নবিজির শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ, সাহাবিদের শোক ও জানাযা আদায়ের দৃশ্যগুলো? এমনসব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর উঠে এসেছে এ বইয়ে।
রাসুলের ভালোবাসায় সিক্ত যে হৃদয়, এ বই সে হৃদয়ে জাগাবে নবিপ্রেমের আলোড়ন, উথলে দেবে ভালোবাসার জোয়ার। আমরা যারা নবিজিকে ভালোবাসি, সাহাবিদের ভালোবাসি আর চাই নিজেদের শেষ দিনগুলোকে সুন্দর ও আলোকিত করে তুলতে, তাদের জন্য অবশ্যপাঠ্য এ বই।
সিরাজাম মুনির
সিরাত পড়তে গিয়ে কিছু কিছু ঘটনা আমরা খুব একটা মনোযোগের সাথে পড়ি না। শুধু চোখ বুলিয়েই চলে যাই। আবার কিছু ঘটনা আছে, যেগুলো খুব একটা জনপ্রিয় না; ধারাবাহিক সিরাতের গ্রন্থগুলোতেও পাওয়া যায় না। এমন ঘটনাগুলোকে ‘সিরাজাম মুনির’ বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
সাধারণত দেখা যায়, কেউ একটি সিরাতগ্রন্থ পড়েই হাত গুটিয়ে বসে পড়েন। আমাদের বিশ্বাস, ‘সিরাজাম মুনির’ বইটি পাঠকের এই ধারণা ভেঙে দিতে সক্ষম হবে ইনশা আল্লাহ। বইটি পড়ে সিরাত অধ্যয়নের তৃষ্ণা নিবারণ তো হবেই না, উল্টো আরো বেড়ে যাবে এই আমাদের প্রত্যাশা।
Reviews
There are no reviews yet.