Description
সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় চাকরীপ্রত্যাশীদের মাঝে। পড়া দরকার, স্কিল ডেভেলপ করা দরকার, হাতে প্রচুর কাজ, সময়ও আছে। কিন্তু কেন যেন সবই হচ্ছে, আসল কাজগুলোই শুধু করা হচ্ছেনা। ঠেলাঠেলি করে ব্যর্থ হয়ে বেলা শেষে চায়ের দোকানে বসে নিজেই নিজেকে দোষারোপ করে করে ছোট হয়ে যান। তারপর জীবনের লক্ষ্যটা ছোট করতে করতে হয়ে যান একজন অক্ষম, নির্জীব, আর্ধেক মানুষ, অর্ধেক নিশাচর, ঘুমহীন এক প্রাণী, যে আত্মীয়দের এড়িয়ে চলে, নিজের ভিতর কুঁকড়ে ছোট হয়ে যেতে থাকে দিন দিন।
আপনি কি জানেন এটা একটা মানসিক রোগ?
আনওয়াইন্ডিং অ্যাংজাইটি অর্থ অ্যাংজাইটির প্যাঁচ খোলা। সত্যিই প্যাঁচানো জিনিস এই অ্যাংজাইটি। সাধারণ যে দুঃশ্চিন্তা, তাকে ডাক্তাররা সরাসরি অ্যাংজাইটি বলেন না। কিন্তু আমরা যারা সাধারণ মানুষ, মস্তিষ্কের জটিল কাজকর্ম বুঝিনা, তারা গোলমাল করে ফেলি, অ্যাংজাইটিকে বলি অযথা দুঃশ্চিন্তা, আর কাজকর্ম করতে গিয়ে চাপের মুখে পড়লেই ভেবে বসি আমাকে দিয়ে বুঝি কিছু হবেনা!
কাজ করতে চান কিন্তু আটকে যাচ্ছেন, জীবন চলছে না, বিতৃষ্ণা এসে গিয়েছে সবকিছুর উপর – এগুলো শুধুই অভিযোগ। আপনার জানা উচিৎ এগুলো আমাদের মাথায় কীভাবে কাজ করে। হতে পারে সমস্যাটা খুবই গভীর, কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হল এর সমাধানটা ততটা জটিল না, বরং বেশ সরল। তবে সরল হলেও কাজটা একটু লম্বা।
আরো বহু সেলফ হেল্পার বইয়ের ভীড়ে এই বইটা একটা রত্ন, কারণ আমাদের এই লেখক শুধুই আরেকজন লেখক না, তিনি একজন পিএইচডি হোল্ডার গবেষক, সাথে মানসিক রোগের চিকিৎসক।
বইটা পড়তে আপনার সময় লাগবে ১০ ঘন্টা, আর প্র্যাক্টিস করতে সময় লাগবে একমাস। বহু মানুষের কাজে লেগেছে বইটা, আপনারও লাগবে।
Reviews
There are no reviews yet.