Description
সংখ্যায় যা থাকছে…
২০২১ সাল বাংলাদেশের শিক্ষাগত ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রাণকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে আমরা বাঙলানামার ২য় সংখ্যাকে মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিকই রাখার চেষ্টা করেছি, যার সূত্র ধরে এ সংখ্যার মোটামুটি সব লেখার বিষয়বস্তুই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। খ্যাতিমান চিন্তাবিদ ফাহমিদ-উর-রহমান তাঁর ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাঙালি মুসলমান’ শিরোনামের প্রবন্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনের কাহিনি ও চ্যালেঞ্জগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে এনেছেন। নাজমুল রেজা ব্রিটিশপূর্ব মুসলিম শাসনামলের সংক্ষিপ্ত আলোচনাপূর্বক ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে বাঙালি মুসলমান সমাজের বিকাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলচালিকা ভূমিকার ইতিহাস তুলে ধরেছেন তাঁর ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাঙালি মুসলমানদের বিকাশ’ নামক প্রবন্ধে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক প্রাধান্য বিস্তার নিয়ে ইসলামপন্থি ও সেক্যুলারদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব ফুটে উঠেছে সোহরাব হোসাইন লিখিত ‘ইসলামিজম বনাম সেক্যুলারিজম : দ্বন্দ্বের দোলাচলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ নামক প্রবন্ধটিতে। মিনহাজুর রহমান রেজবী ও শহীদুল ইসলাম তাঁদের যৌথকর্ম ‘শিক্ষা ও গবেষণার হাল-হাকিকত : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামের প্রবন্ধে প্রতিষ্ঠাকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার অবস্থা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও পরিসংখ্যান দিয়ে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় যে নবাব সলিমুল্লাহর অবদান ও ত্যাগ-তিতিক্ষা অনস্বীকার্য, তিনি কেন বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এতটা উপেক্ষিত তার দীর্ঘসূত্রিতা তুলে ধরেছেন কামারুজ্জামান তাঁর লেখা ‘নবাব সলিমুল্লাহ, বঙ্গভঙ্গ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বিস্মৃতির অন্তরালে সন্ত্রাসবাদী সেক্যুলার সাম্প্রদায়িক মানস’-এ। এ ছাড়াও নিও-কলোনিয়ালিজম, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা, সমাজের ওপর এর প্রভাব এবং বিকল্প নিয়ে আরেকটি লেখা এসেছে।
পরিশেষে পাঠকের কাছে নিবেদন থাকবে, এই সংখ্যাটি পড়ুন এবং আপনার পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি করুন। আপনার জ্ঞান পিপাসা এই সংখ্যা যদি সামান্যতমও মেটাতে সক্ষম হয় তাহলে আমাদের পরিশ্রম সার্থক। আমাদেরকে সমৃদ্ধ করবেন আপনাদের ইতিবাচক সমালোচনা এবং দোয়ার মাধ্যমে।
Reviews
There are no reviews yet.